জল নূপুর

জল নূপুর


ফারজানা পরী 

শেষ চৈত্রের বাতাসে _
দরজা খুলে দেখি জল বৃক্ষের ডালে একটি পাখি জলের কাব্য লিখছে ডানা-পালক ছড়িয়ে ধুলোর শহর পেরিয়ে বুকে বইছে নদীর কলতান। 
কিছু বসন্ত কুড়িয়ে ঝরাপাতার প্রেম তুলে রেখেছিলাম ফুলতোলা রুমালে,
বসন্ত বিদায় নিবে হয়তো পাখিটি ভাবছে ফাগুনের রঙ,বিবর্ণ ঝরাপাতা আর কৃষ্ণচূড়া সুখ 
তখনও দুলছে একটি হলুদ ফুল শেষ চৈত্রের বাতাসে,হয়তো ভালোবাসার রেশ এখনও কাটেনি... 
আহা দখিন মুখি ফুলটি কি পুড়ছে...
অথচ কি নির্মম পরিহাস বৈশাখী ঝোড়ো হাওয়ায় ফুলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে
ধীরপায়ে এগিয়ে যাই জল বৃক্ষের সামনে,দেখি পাখিটি গাছের ছাল-বাকলে এঁকে রেখেছে পথের নির্দেশিকা... 
ধুলোর পথ ভেঙে আরও কিছুদূর এগিয়ে যাই দেখি আরেকটি জল বৃক্ষ গাছ 
পাখিটি কোথাও নেই,পাতায় পাতায় লেখা ছিল আমার হারিয়ে যাওয়া জল নূপুর। 
নূপুর পরতেই শুরু হলো রিমঝিম বৃষ্টির সুর,আমার সে কি আনন্দ জল নূপুর পায়ে 
পাখিটি অনেক সুখে কাঁদলো শীতল পরশ পেয়ে বুঝলাম অভিমান ভেসে গেলো জলের স্রোতে 
এগিয়ে দিলাম ফুলতোলা রুমালের শেষ বসন্তটুকু।
তারপর পাখিটি আর দেখিনি জল বৃক্ষের ডালে।
ফিরে গেছে তার দেশে সমস্ত বসন্ত জড়ো করে।