দীপিকা

দীপিকা
        
       অন্তর চন্দ্র
স্বরূপ লেগে আছে তোমাতে চিরকাল।
বহুবার খুঁজে হয়েছি ম্লান বিফল।।
হৃদয় মাঝে যে দিপ্তি প্রজ্জালিত হয়।
সেই স্পষ্ট স্পন্দনে আমার হয় লয়।।
বিশ্ব বিধাতার নিখিল ভুবন মাঝে।
আজি হৃদয় রাজে মধুর শঙ্খ বাজে।।
গাহিয়াছে একসাথে কত তরুলতা।
আমিই জগতে সকলেই এক মোরা।।
ভেদাভেদ নাহি রবে কীর্তি ধ্বজা ওড়ে।
অন্তরে অন্তরে এক মধু বন  জাগে।।
আপনি মিলিয়ে যায় আপনার তালে।
মুখে সদায় মহাপ্রণব ধ্বন্নি করে।।
বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড মাঝে নতুনত্বের ছোঁয়া।
নিজেই নিজের মাঝে আপনারে খোঁজে।।
প্রেম পুষ্প কতবার সৌরভে মাতাল।
চোখে জল আলুথালু মনে বড় বল।।
চিনিলে চিনতে পারে আকুল ব্যাকুল।
অকুল ঘাটের মাঝি দাঁড়ায়ে দুয়ারে।।
কিবা নাম কিবা রূপ কে জানিতে পারে।
শ্রবণ করিয়া তাহা আপনার কাণে।।
ভুলিয়া এ বিশ্ব চরাচর নিজ হতে।
কতবার ব্যাথা পেয়ে অবশেষে মরে।।
বিধাতা বসে আছে আপন হৃদ স্থলে।
ওঙ্কার ধ্বন্নি করে সদায় নেচে নেচে।।
প্রেমজলে না ভাসিলে বোঝে কয় জনে।
লুকায়ে কোটরে দেখ হৃদিনাথ হাসে।।
সৌরভে সৌরভ উথাল - পাতাল সর্ব।
লুটায়ে পড়িছে কত জেনে তার মর্ম।।
যদি একবার মেলে দেখা কভু তার।
জানি এ সংসার ঘোর না থাকে আমার।।
ত্রিবেণীতে একাকার নহে ভিন্ন কোন।
ডুবিয়া দেখনা তাতে অন্য নহে কেহ।।