পুরুষের পর্দা
ইকবাল বাহার সুহেল
তোমার হৃদয় খুজিবো কেমন করে
সেতো যেন আঁচলে বেধে ,রেখেছো গোপন ঘরে
নরে নারী সুন্দর তাই তো সাজিয়ে রেখেছো সোনা দেহ তোমাতে মরি প্রিয় ,
খুলে রেখো দোয়ার বিবাদি আমি মধু পিয়াসী মন বারেবার আসিব ফিরে ভালোবাসা নিও !
বলেছিলাম শের বাহাদুর শাসক শাসন শোষক শোষণ সমজধারি জমিদারি সবই তো তোমায় মানায় নর বলেই কি নারীতে বদনাম রটে ,
রক্ষক রক্ষাকর্তা যদি তুমিই সাজো .. তবে কেনো ভক্ষক হও ধর্ষণ করো ধর্ষক হও ! পাপে পাপে বিকৃতি ঘটে ! তাকে যদি ( নারীদের ) হেফাজত করো মিলিবে পূণ্য ভাগ্য তটে !
মা মাটি মাটিতেই দেহ সুখি
জননী তুমি শ্রদ্ধা অশ্রু আমার সবুজে আঁকা ক্লোরোফিল জীবন স্নেহে ধন্যে তোমারই জন্য আমি শরীরে রক্ত মাখি ! স্বপ্ন ভরা আকাশের বুকে তেমাতেই চোখ রাখি ..
মৃত্যুর পরও যদি বেঁচে উঠি .. হুমায়ুন হবো হুর পাবো এমনি কামনা যেনও আমি অশান্ত তুমি শান্ত পরী !
ইবাসুও পুরুষ পৃথিবীর সকল পুরুষও পুরুষ আর সে যেন তার মানব জনমের মর্যাদা রাখে ..
পৃথিবীর এমন কোন সত্যকারের পুরুষ নাই যে কিনা তার মা , বোন ও মেয়েদের হেফাজত করে না .. শতভাগ করে নিজের জীবন দিয়েও তাদের রক্ষা করে ! তা হলে অন্য নারী কিংবা পরও নারীদের রক্ষা করতে সে পিছপা কেনো হবে ? যে পুরুষ নারীদের মর্যাদা দিতে পারে না তাদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারে না .. সে নিশ্চিত ভাবেই কাপুরূষ পুরুষ জাতির কলংক ! পুরুষ শাসিত সমাজে শাসক হয়ে যে ন্যায় বিচার করতে পারে না ‘আইয়ামে জাহেলিয়া ‘যুগকে তখন হার মানায় !
এতো কিছু বলার একই অর্থ দাড়ায় ..
পুরুষ প্রথমে তোমার জবানে রুহে ,রুহানিতে কলপ বা পর্দার আবরণ দাও
আল কুরআন এর সূরা নুরের ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে জানেন।
হে পুরুষ তুমি যখন নারীর দিকে তোমার হাতের এক আঙ্গুল সোজা করো বাকি চারটি আঙ্গুল কিন্তু তোমার দিকেও তাড়িয়ে আসে !
অতএব পুরুষ যেমন তার চোখ ও অন্তরে পর্দা দিবে নারীও তার চোখ , অন্তর ও দেহে পর্দা দিবে সুস্থ সমাজ গঠনে সেটাই সবার কাম্য এবং মঙ্গলজনক ! আসুন পুরুষ ও নারী আমরা সবাই মিলে এই সুন্দর বিশ্ব গড়ি !