ফুলবাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের হাতে মার খেলেন যুবক

বাংলাভাষী ডেস্ক :

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা কামরুজ্জামান মাসুদ নামে এক যুবককে মারধরের পর একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

গত রোববার সকালে উপজেলার ফুলবাড়ি মডেল ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। যুবককে মারধরের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, যুবককে ঘাড় ধরে টেনেহিঁচড়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাইরে নিয়ে যান। এ সময় ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘হানিফ ভাই, আপনে যা কররা ভুল কররা, আমি এমন কিতা করলাম যে আপনে আমার লগে এমন ব্যবহার করলায়?’ পরে তাকে ঘাড় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে নিয়ে যান চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান মাসুদ জানান, দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। তখন ইউনিয়নের সচিব বেশি টাকা চাইলে আপত্তি জানান। এ সময় ইউপি সচিব চেয়ারম্যান নির্ধারিত টাকা দিতে বলেন। অন্যথায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হবে না বলে জানান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সচিব চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে পরিষদে আনান। তিনি এসেই উত্তেজিত হয়ে মাসুদকে মারধর শুরু করেন। পরে টেনেহিঁচড়ে ভেতরে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান জানান, ইউনিয়নের সচিব ও সহকারীর সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় মাসুদের। এক পর্যায়ে মাসুদ তাদের মারধর করে। তখন তিনি পরিষদে ছিলেন না। সচিবের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তার সামনে সচিবকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে মাসুদকে বাধা দেন। পরে স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়। মারধর ও ঘাড় ধাক্কার বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদকে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষা করতে অভিভাবক হিসেবে শাসন করেছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান।