বিচিত্র কুমার এর গুচ্ছ কবিতা
চাঁদনীর একান্নতম প্রেমিক আমি
-বিচিত্র কুমার
আমি প্রেমে পড়িনা বলে নীল আকাশের চাঁদনী প্রেম নিয়ে এলো
তারাভরা আকাশে বাঁকা চাঁদকে আহবান জানালো হাতছানি দিয়ে,
প্রেম যমুনার ঘটে হাবুডুবু খেয়ে ইচ্ছে নদীর তীরে দুজনার কথা হলো
রঙধনুর রঙে নীল আকাশ রাঙিয়ে ইচ্ছে ডানা মেলিয়ে।
তুৃমি মেহদী রাঙা হাত বাড়ালে মেঘের আড়ালে
আমিও কথা দিলাম অজান্তে একান্নতম সিরিয়ালে।
আর তুমি প্রজাপতি মতো ফুরফুর উড়লে মনের আকাশে
আমার কচিকাঁচা সবুজ ঘাসে,
তারপর প্রতীক্ষা আর প্রতীক্ষা শেষ নেই বাস্তব প্রেমে
আমি বিরহে সুরে কালো মেঘ সাজালাম মনের আকাশে।
একটা দুঃস্বপ্নে তুমি আমার হাত ছাড়ালে
জানিনা আবার কোনসে দেশে হারালে।
অতঃপর,
তুৃমি ফুটন্ত ফুলের মতো প্রতিদিন প্রেম নিয়ে আসো আকাশে
হলাহলের বিষ মিসাও উতলা বাতাসের পুষ্পতে,
আর আমি বারবার সেই ফুল তুলতে গিয়ে:
কাঁটার আঘাত পাই ভালোবাসার আশাতে।
(০২)
সুস্মিতা
-বিচিত্র কুমার
তোমাকে চাই তোমাকে চাই একথা আমি বলতে চাই
এ পৃথিবীর বুকে চিতকার করে লক্ষলক্ষ কোটিবার তোমায়,
কিন্ত বলতে পারি না লোক লজ্জায় যদি ফিরিয়ে দাও অবহেলায়
আমার সাজানো স্বপ্নের নীড় যদি ভেঙ্গে যায়।
চিকিমিকি রোদ্রে সময় বয়ে যায় ভাবনায় ভাবনায়
বলতে গিয়ে যদি চিরতরে মতো হারিয়ে ফেলি তোমায়,
সুস্মিতা আমি বড্ড ভালোবাসি যে তোমায়
তোমাক খুঁজে পাই অনুভাবে জল্পনা কল্পনায়।
দিনের আলোর শেষে আঁধার মেনে আসে বাস্তব দুনিয়ায়
তবু আমার দুচোখে চোখে ঘুম নেই সেই চিন্তায়
ঝিঁ ঝি পোকা গান ধরে জোনাকিরা আলো জ্বলায়
বাঁকা চাঁদ বারবার ফিরে ফিরে চায়।
আমার শুধু ইচ্ছে করে ছুটে যাই তোমার কাছে
তারাভরা আকাশের নীচে মুখোমুখি বসি তোমার পাশে,
তোমার মুখশ্রীর একঝলক হাসিতে কাটাতে চাই উতলা রজনী
শুধু তুমি আর আমি যেন থাকি একসাথে।
(০৩)
প্রেমের অপমৃত্যু
-বিচিত্র কুমার
আমি স্বপ্নে লক্ষলক্ষ কোটিবার প্রেমে পড়েছি উর্বশীর
এইতো সেদিন প্রেম হয়েছিলো একঝঁক প্রজাপতি সাথে,
ফুরফুর করে উড়ছিলো ডানামেলে রঙিন দুনিয়াতে
ইচ্ছে করছিলো চুমুদিয়ে মনের খাঁচায় বেঁধে রাখি পাখিটাকে।
আমার ভালোবাসার অপূর্ণ রঙিন পুষ্প বাগানতে
প্রেমের পরসা সাজিয়ে ভালোবাসাই রাঙাতে।
সেও স্বপ্ন সাজিয়েছিল আমার অন্তরজমীনে আবেগের বসে
হঠাৎ হারিয়ে গেলো সবুজ সবুজ কচিকচি পাতার ফাঁকে,
তারপর কতবার ডাকলাম ভালোবাসে বাস্তবে মন স্থির করে
সে আর ফিরে এলো না আমার ক্ষত-বিক্ষত বুকে।
তারাময় আকাশের বুকে কালো মেঘগুলো তুফান তুললো
চন্দ্রের চাঁদনীকে হারানোর শোকে।