বোরকা বা পর্দা প্রথা

বোরকা বা পর্দা প্রথা

ইকবাল বাহার সুহেল 

বোরকা হলো মহিলাদের এক ধরনের বহিরাঙ্গিক পোশাক যা সারা শরীর ঢেকে রাখে ! মহিলাদের বলতে সব মহিলাদের বুঝাচ্ছি ..

“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ”

সত্যিই তা অপরাধ হবে কেনো সৃষ্টিকর্তা নারীদের বানিয়েছেনই যৌন আকর্ষণ দিয়ে ভরপুর করে .. পুরুষের চেয়ে আলাদা করে 

এখানে তো দোষের কিছু দেখছি না .. অনাবৃত নারীকে দেখলে যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগতেই পারে সুযোগ সুবিধা পেলে তাকে নিয়ে পৃথিবীর যেকোন পুরুষ মনোরঞ্জন করতেই পারে এবং সুযোগ পেলে করবেই , পুরুষ হলে যে কেউই করবে !

তথাকথিত আইন দিয়ে পুরুষত্ব কে দাবিয়ে রাখা যায় না যাবেও না !

তবে তার প্রতিকারের পথও আছে এসব থেকে বাচারও পথ আছে ! হে নারী তুমি তোমার শরীর ঢেকে রাখো পুরুষদের কামনার দৃষ্টি থেকে ! যদি সেটি না করো কিংবা নিজের দেহকে নগ্ন করে চলাফেরা করো তবে তোমার দেহকে পুরুষদের লোভ, কামনা, যৌন লিপ্সা থেকে তুমি বাচাতে পারবে না ! সেটি পুরুষদের জন্য কোন অপরাধ বলে গন্য হবে না ! হতেও পারে না ..

আবারও বলছি .. পুরুষ নারীকে নগ্ন দেখে গানের সুরে বলবে

“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ”

এখন আসি একজন নারী বোরকা বা বোরখা বা নিজেকে কাপড় দ্বারা নিজের দেহকে আবৃত্ত করে রাখলে তার নিজের শরীরের কিংবা নিজের ত্বকের কি উপকার হয় কিংবা তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি ?

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা আলট্রা ভায়োলেট রে মূলত তিন ধরনের—এ, বি এবং সি।

প্রথম কথা হলো, সূর্যরশ্মির মতো আমাদের ত্বকেরও নানা প্রকারভেদ আছে। ত্বকে মেলানিনের মাত্রার ওপর নির্ভর করে এই প্রকারভেদ। আমাদের ত্বকে ইউ মেলানিন বা তামাটে মেলানিনের মাত্রা বেশি বলে আমরা সূর্যালোকের সঙ্গে কিছুটা বেশি খাপ খাইয়ে নিতে অভ্যস্ত। শ্যামবর্ণের মানুষ তাই প্রখর সূর্যালোকে ‘ট্যান’ হয়, কিন্তু ‘বার্ন’ হয় না। ফলে ক্ষতির মাত্রা কিছুটা কম।

আবার ইয়েলো মেলানিন যাদের বেশি 

যাদের ত্বকের এই ফটোপ্রোটেকশন ক্ষমতা কম। তাদের ত্বকে পোড়াটে ভাব আসে, ত্বকের বিশেষ ক্ষতিও হয়। এ কারণে ত্বকের ক্যানসার পরিচিত এক রোগ। সব ধরনের ক্যানসারের মধ্যে এটি দশম।

ক্যানসার ছাড়াও সূর্যের সরাসরি আলো ত্বকের আরও কিছু ক্ষতি করতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের ওপর পড়লে ত্বকের নিচের কানেকটিভ টিস্যুর কোষগুলো ভেঙে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের টান টান ভাব নষ্ট হয়। যাঁরা সূর্যের আলোতে বেশি কাজ করেন, তাঁদের ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়, কুঁচকে যায়, বলিরেখা পড়ে। তা ছাড়া সূর্যের আলোয় ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারায়। এই সমস্যাগুলোকে ফটোড্যামেজ বলা হয়। এর বাইরে তিল পড়া, কালো পিগমেন্টেশন হওয়া, মেছতা পড়া, ডার্ক স্পট, কেরাটোসিস ইত্যাদির কারণও এই অতিবেগুনি রশ্মি।

ইস্ট্রোজেনকে বলা হয় 'নারী হরমোন'। নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই হরমোন থাকলেও নারীদের প্রজনন বয়সে এটি উচ্চমাত্রায় থাকে। নারী শরীরের সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট বিকাশে সাহায্য করে ইস্ট্রোজেন হরমোন । নারীর বাহুমূলের পশম, স্তনের আঁকার, এবং ঋতুস্রাবের মত শারীরিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এটি প্রজননতন্ত্র গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণের ফলে নারী শরীরে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি হতে পারে ক্যানসারও। তাই যদি ইস্ট্রোজেন হরমোনের অতিরিক্ত নিঃসরণের কারন নিজেকে অনাবৃত রাখা বা শরীর কে বাহিরে রাখা !