মেঘ ভিজিয়ে দিলো ঘনবর্ষণে

মেঘ ভিজিয়ে দিলো ঘনবর্ষণে


নাছরিন আক্তার 

আকাশ দিয়েছে সব যতটুকু ছিলো তার একান্ত আপন ,
মেঘ ভিজিয়ে দিলো ঘনবর্ষণে আদিগন্ত চরাচর।

এক প্রেমিক,মগ্ন আর মানবিক
দ্বিধায় ভিরু বুকে প্রণয়ের ফুল তুলে  
সাজায় প্রেমিকাকে। 

প্রেমিকা! সেতো কুহেলিকা ,  
কি এক অকারণ ভুলে
চৈতন্যে শূন্যতার দেয়াল
নিরন্ধা হৃদয় তার অনুভবে মৃয়মান।    

নরম কুয়াশার মত হৃদয়(প্রেমিকের) 
প্রতিক্ষার প্রহর গুনে কেটে যায় লয়।
মনে একই প্রশ্ন জাগে বারবার 
কোণ বিষাদে প্রেমকে এমন কাঁদালে বল! 

হেয়ালী অভিমানে মনকে বোঝায় সে  ,
সব মেঘে বৃষ্টি হয়না
সব বৃষ্টিতে আসেনা প্লাবন
সব ফুল কি র্পূণতা পায়? 
সব ফুলে হয়না গাঁথন।,
বৃষ্টিতে ভেজে যারা ---- 
সবাই তো আর বর্ষা প্রিয় নয়।

দিন এগিয়ে যায় ,
সময়ের হাত ধরে আসে ধুপছায়া রঙ
জলজ মনের চোখে তাকিয়ে দেখে সে(প্রেমিকা)
শুধুই একাকি বিষণ্ণ আনমনা। 

অবচেতনে তার স্মৃতির ঘ্রাণ
কখন হারিয়েছে বিরতিহীন বৃষ্টির রিমঝিম 
বর্ষা ছুঁয়ে দূর এক নদী বয়ে চলে নিরন্তর
বাঁধা না মানে ,উপেক্ষা করে সহস্র বাঁধন। 

মনবিনাশী হাওয়া বুকে বয়ে বেড়ায়  বালুকা নগর
যেখানে এতটুকু শ্রান্তি নেই ,
 অবকাশ নেই নেবার বসন্তবীজের ঘ্রাণ। 

ফোঁটা ফোঁটা ঘাম যেনো অগ্নিহোত্রী স্বেদাক্ত প্লাবন
নীরব দু’চোখে আজ তার প্রবল শ্রাবণ,   মেঘ ভিজিয়ে দিলো ঘনবর্ষণে আদিগন্ত চরাচর।।