মঙ্গলবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে শেষ হল হরতাল

মঙ্গলবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে শেষ হল হরতাল

বাংলাভাষী ডেস্ক::

দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের বাধা, বিক্ষোভ, আটক ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল।

এদিকে হরতাল শেষের আগে পুলিশি হামলার অভিযোগ করে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক।

তিনি বলেন, সমাবেশের শুরু থেকেই পুলিশের আচরণ উসকানিমূলক ছিল। শেষ মুহূর্তে কর্মসূচি ঘোষণার আগে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে দিয়েছে; হামলা চালিয়েছে।

তার দাবি, হামলায় ২০ জনের মতো নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সারা দেশে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বামজোটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

রাজধানীর পল্টন মোড়ে হরতাল সমর্থনকারীরা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করলে বেলা ১১টায় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছিটায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে শাহবাগে টায়ার জ্বালিয়ে ও রাস্তার পাশের ব্যানার-পোস্টারে অগ্নিসংযোগ করে ব্যারিকেড তৈরি করে সকাল পৌনে সাতটার দিকে তারা এ এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেন হরতাল সমর্থনকারীরা।

হরতালের সমর্থনে সকালে মিরপুর এলাকায় বাম জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

এছাড়াও খুলনায় হরতালের সমর্থনে সড়কে অবস্থান নিলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৬ নেতাকে আটক করে পুলিশ।

সিপিবি নেতা এস এম রশিদ অভিযোগ করেন, রাতে বাসা থেকে ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক, সিপিবি ফুলতলা উপজেলা সভাপতি গাজী আফজাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। খুলনায় কোথাও পুলিশ রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না।

অন্যদিকে রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় হরতালের বিপক্ষে কর্মসূচি পালন করেছে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

সোমবার সকাল থেকে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর দক্ষিণ পাশে উত্তরা ফিলিং স্টেশন সামনে হরতালবিরোধী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন লোকজন।

নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে গত ১১ মার্চ সকালে পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।