রেজাল্ট আসা শুরু হলো: সাকিব

বাংলাভাষী ডেস্কঃঃ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেতে বাংলাদেশ দলে দেওয়া হয়েছে পরিবর্তনের ডাক। বিপিএলের পারফরমারদের দলে নিয়ে দেওয়া হয়ে এই পরিবর্তনের ডাক। সংখ্যায় ছিলেন ৫ জন। কেউ ছিলেন নতুন মুখ। কেউবা আবার ফিরে এসেছিলেন। এদের মাঝে যারাই সুযোগ পেয়েছেন, তারাই কৃতকার্য। সঙ্গে ছিল অভিজ্ঞদের সমপোযোগী যোগান। সব কিছুর যোগফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ’।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজের শুরু থেকে সাকিব আল হাসান কখনই সংবাদ সম্মেলনে আসেননি। অবশেষে আজ এসেছিলেন বিজয়ের হাসি ছড়িয়ে। সংবাদ সম্মেলনে তার বলা কথাগুলো ঢাকাপ্রকাশের পাঠকদের জন্য তুলেধরা হলো।

প্রশ্ন: ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার নেপথ্যে?

সাকিব: আমার মনে হয় তিনটা ম্যাচেই আমরা অসাধারণ ফিল্ডিং করেছি। টি-টোয়েন্টিতে ২, ৪, ১০, ১৫ রানে পার্থক্য গড়ে দেয়। ওই জায়গাটাতে আমরা অনেক উন্নতি করেছি।

প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের সঙ্গে এই সিরিজের পাথর্ক্য?

সাকিব: আমরা কোনো সিরিজের সঙ্গেই কোনো সিরিজের তুলনা করতে চাই না। প্রতিটা ম্যাচই জেতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেভাবে খেলে জিতেছি আমার কাছে মনে হয় এটা একটা সময় আমরা খুব একটা করিনি।সেদিক থেকে আমার কাছে মনে হয় আমরা পুরো দলই সন্তুষ্ট।

প্রশ্ন: বিপিএলের পারফরম্যান্সে কতটা হেল্প করেছে?

সাকিব: এ সিরিজে যারা খেলছে প্রতিটা খেলোয়াড় বিপিএলে পারফর্ম করেছে। ওই পারফরম্যান্সটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর পর খুব একটা গ্যাপ যায়নি। সেটা একটা বড় অ্যাফেক্ট। এখানে যারা টপ ৫, ৬ এ পারফর্ম করেছে তারা বিপিএলেও পারফর্ম করেছে। যারা হায়েস্ট উইকেট টেকার তারাও এখানে পারফর্ম করেছে। কনফিডেন্স আসলে থাকে। যেহেতু খুব বেশি একটা গ্যাপ ছিল না, আমরা খেলার মধ্যে ছিলাম, ওইটা আসলে আমাদের হেল্প করেছে বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টিন বিশ্বকাপ থেকে এ সিরিজের কোন যোগাযোগ কী ছিল?

সাকিব: এশিয়া কাপ থেকেই বোধহয় আমার অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছে। আমরা হয়তো ওখানে ম্যাচ জিতিনি। কিন্তু আমরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম। বিশ্বকাপে আমি তো মনে করি দুভার্গ্যজনক যে আমরা সেমিফাইনাল খেলতে পারিনি। আমরা একটা ম্যাচ বেশি জিতলেই সেমিফাইনাল খেলতে পারতাম। ওই সুযোগটা ছিল। আমরা জানতাম আমরা খুব ক্লোজ আছি। আমাদের বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে আমরা ফাইট দিতে পারি। বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সটা আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে যে আমরা বড় দলের সঙ্গে ফাইট দিতে পারি। যখন আমাদের হোমে খেলা আমাদের কনফিডেন্স লেভেলটা আরও বেশি ছিল। আমরা জানতাম আমরা ভালো খেললে আর ইংল্যান্ড আমার কাছে মনে হয়েছে ওদের কিছু শর্ট ছিল। ওই জায়গাটাতে আমাদের ক্যাপিটালাইজড করার সুযোগ ছিল এবং আমরা করতে পেরেছি। যখনই ওদের ৩,৪ উইকেট পড়ে গিয়েছে, তখন কিন্তু ওইরকম ব্যাটসম্যান ছিল না। আমাদের জন্য এটা অ্যাডভানটেজ ছিল। আমার যেভাবে খেলেছি, যে অ্যাপ্রোচ নিয়ে খেলেছি। ওইটা একটা তৃপ্তির জায়গা ছিল। যেটা আমরা এশিয়া কাপ থেকেই শুরু করেছিলাম। আসলে রেজাল্ট আসতে একটু সময় লাগে। হোপপুলি এটা শুরু হলো।

প্রশ্ন: শান্ত-তাসকিন-মিরাজের পারফরম্যান্সকে কীভাবে দেখবেন?

সাকিব: আমি একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে বলতে চাই না। অসাধারণ খেলেছে সবাই। যার যার জায়গা থেকে, যা কনট্রিবিউট করার দরকার ছিল করেছে। ২-১ জন হয়তো আমরা যতটা ভাবি সবসময় খেলবে, অতটা আসলে একটা টিমে খেলে না। যারা ভালো খেলেছে আমি আশা করব, যত বেশি দিন সম্ভব ভালো খেলতে থাকবে। যারা হয়তো অত বড় কনট্রিবিউট করতে পারেনি তারা হয়তো ১০, ১৫ শতাংশ কনট্রিবিউট করতে পারে তাহলে আমরা আরও ভালো টিম হব।

প্রশ্ন: পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে মূল্যায়ন?

সাকিব: আমাদের বোলিং ইউনিট ভালো ছিল। আমরা ৬ জন প্রপার বোলার নিয়ে খেলেছি। হয়তো আমাদের আরো অনেক কিছু টিউনিংয়ের দরকার আছে। বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করলে আমাদের শুরুটা ভালো হলো।

মোস্তাফিজের ওভারটাকে (২ উইকেট। ১টি ছিল রানআউট) কীভাবে দেখবেন?

সাকিব: ওই ওভারটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরপর ২ বলে ২ উইকেট, ২ সেট ব্যাটসম্যান আউট হওয়া ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট আমি বলব।