১১ নং ওয়ার্ডবাসী আমাকেই  নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ- বাবলূ

বাংলাভাষী ডেস্ক :

হারানো পদ ফিরে পেতে এবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর জেলা বারের আইনজীবী হাজী আব্দুর রকিব বাবলু। তিনি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বলেছেন,এ পদে থাকাকালে তিনি এই ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট মসজিদ মন্দির এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে হাজী আব্দুর রকিব বাবলুর হাতের উন্নয়নের ছোঁয়া নেই। তিনি বলেন, জনগনের ভোটে নয়,  ষড়যন্ত্রের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এবার জনগণ সজাগ। তাই কেউ বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ। এক দমেই কথাগুলো বললেন এডভোকেট হাজী আব্দুর রকিব বাবলু। সিসিক এর আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে ১১ নং ওয়ার্ডে তিনি ঘুড়ি প্রতীকে লড়ছেন কাউন্সিলর পদে। ওয়ার্ডের পুরো এলাকা দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানালেন তিনি। 
এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু সিলেট নগরের ভাতালিয়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল বারীর জ্যেষ্ট পুত্র। দুই্ ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। পাড়ার স্কুল থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। ¯œাতক শেষ করে আইন বিষয়ে আইন বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন। সিলেট ল’ কলেজে অধ্যয়ন কালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস নির্বাচিত হন। এ পদেই তাঁর প্রথম নেতৃত্বদান নয়। ছাত্র রাজনীতির প্রথম পাঠ নিজ মহল্লাতেই। ছাত্রজীবনে আঞ্চলিক ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ছিলেন। পরে সিলেট মহানগর শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এর পর মহানগর যুবলীগের কমিটিতে ছিলেন। সবশেষ তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শুধূ রাজনীতি নয়, সামাজিক অঙ্গনেও রয়েছে আব্দুর রকিব বাবলুর বিচরণ। তিনি সিলেট নগরের ঐতিহ্যবাহী ভাতালিয়া জামে মসজিদের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তাঁর নেতৃত্বেই মসজিদেও বহুল ভবন গড়ে উঠছে। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটির দুতলা পর্যন্ত নির্মান শেষ হয়েছে। চৌকষ নেতৃত্বের অধিকারী বাবলু মসজিদ কমিটিকে নিয়ে শুরুতেই একটি তিনতলার ভবন নির্মাণ করেন। যেখানে বর্তমানে মসজিদের কার্যক্রম চলছে। 
কাউন্সিলর থাকাকালে ভাতালিয়া সড়ক প্রসস্তকরণ, কুয়ারপার লালাদিঘীর পার খাল নির্মাণ, দক্ষিণ কাজলশাহ রাস্তা নির্মাণ, প্রত্যেক মসজিদে মন্দিওে অর্থ সহায়তা প্রদানসহ এলাকার বিভন্ন স্থানে ১৪টি ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন সহ ব্যপক উন্নয়ন করেছেন বলে জানালেন বাবলু। বললেন এবার নির্বাচিত হলে পুরো ওয়ার্ডকে নিয়ে তার ব্যভাপক পরিকল্পনা রয়েছে। সিলেট নগরের সবকটি ওয়ার্ডের মধ্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন পরিচ্ছন্ন স্মার্ট ওয়ার্ড গঠন করবেন। তিনি এজন্য সর্বস্তরের নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে কোনো বৈসম্য থাকলে। সব এলাকার সমান উন্নয়ন। সব নাগরিক সমান মর্যাদা পাবেন। তিনি বলেন কাউন্সিলর না থাকলে মানুষের সেবা থেকে নিজেকে বিরত রাখিনি। সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে মানুষের বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ইনশাআল্লাহ যতদিন বাচবো, মানুষের সেবা করে যাবো। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত কওে বলেন আগামী ২১ জুনের নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসী তাকে ঘুড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ।