উত্তর গোলার্ধ মানুষদের ডান হাত

উত্তর গোলার্ধ মানুষদের ডান হাত

নিমাই জানা

উত্তর গোলার্ধের দিকে যারা বাম হাত রেখে ঘুমিয়ে যায় তাদের পরনের পোশাকগুলোই ঢলঢলে কম ঘনত্বের জলীয় দ্রবণ ,

হাঁটু মুড়ে ফেরোসোফেরিক গাছ নিজের শরীরের রক্তাক্ত ভ্রুণ খাচ্ছে এসাইলাম বটগাছ দিয়ে

আমার জিভ হল আসল রমনক্লান্ত দ্রবণের আঁতুড়ঘর , বিভাজ্যতা শেখা জোনাকিদের বৃত্তাকার রক্তবাহিকার ভিতরে মৃত্যুর গুটিপোকা সুড়ুৎ করে কঙ্কাল পুরুষ মানুষদের দিলেই হলুদ পোশাকের মহেশ্বর বেরিয়ে আসবেন ভূগোলকের মতো দীর্ঘ কুশধ্বজ মাথায় নিয়ে

যজ্ঞ ক্ষেত্রে আমরা পিঁপড়ের সারি পুড়িয়ে যাচ্ছি অনন্ত কাল ধরে

মেরু ক্ষেত্রফলের মতোই অনেকটা প্লাসমোডিয়াম জলে ডোবানো নিজেদের ভেতর দাঁড়িয়ে মৃত্যুর জলে স্নান করে রাতের সব অশরীর নক্ষত্র ,

অপলক চোখে রক্তাল্পতা রঙের কাল্পনিক নারী গুলো আমাকে একদিন ছিন্ন করবে অন্তঃসত্ত্বা ভূগর্ভস্থ জলের মতো ,অ্যাকুয়াটিক হেমোরেজিক মাথার চুল দিয়ে

ডিস্পেন্সারিতে এক হাঁটু লিউকোপ্লাস্ট জমি আছে সকলের পিঠের দিকে ফুটানোর সুঁচ গুলো থেকে বেরিয়ে আসছে শিরদাঁড়ার ঘোলাটে জল

আবহাওয়ার ঈশ্বর হেঁটে বেরিয়ে আসছেন হাওয়া ভর্তি গ্যাস চেম্বারে নিচ থেকে, আজকাল গর্ভপাতের পর সকলেই হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরে যায়

রাত্রি দুটো দশ মিনিটের পর প্রতিদিন একবার আমার মৃগীরোগের লক্ষণ দেখা যায় , আমি তখন সকলকেই কমদামের ন্যাপথলিন বল ভেবে চলি ছোট্ট একটা মৃত্যুপুরীর ভেতর বসে

উর্ধ্বপাতন বিছানাটি আমার খুব প্রিয় চন্দন কাঠের চৈতন্য ঘোর এনে দেয় ,

ঈশ্বরী একদিন নীল মহালোকের কথা বলবেন