কবি এবং মানচিত্র
রবিউল হাসান
কবি - তোমার কি মনে পরে
অন্ধকার আচ্ছন্ন এক রাতের কথা !
বেদনায় কাতর - হতাশার চাদর
ঢেকে দিয়েছিল দেহখানি তোমার।
মনে পরে কবি , মনে পরে তোমার !
আধখানা চাঁদ আকাশে তখন
মেঘের সাথে খেলছে লুকোচুরি।
রক্তের গন্ধে বাতাস ভারী।
কবি - তুমি ছুটে চলছো পিচঢালা পথ ধরে
তোমার স্বজনের সন্ধানে।
কোথায় তোমার স্বজন!
পশ্চিমাদের মটার শেলের আঘাতে
নিশ্চিহ্ন তোমার ভিটেমাটি।
তোমার সন্তান তোমার স্বজন
বুলেটের আঘাতে লুটোপুটি।
কবি - তুমিতো লিখনি সেই ইতিহাস
জানাওনি কাউকে
দিনটি যে ছিলো, মার্চের পঁচিশে
কালো রাত্রির ভিরে।
হায়েনারা খেয়েছে ছিঁড়ে
তোমার কবিতার পান্ডুলিপি
কবি - তুমি কাউকে জানাওনি।
যেনে গেছে সব, সাহসী যুবকেরা।
মানচিত্রের ক্ষতগুলো মুছে দিতে
হায়েনাদের রুখে দিতে
যুবকেরা সেদিন বেরিয়েছিল পথে।
তারপর সব ইতিহাস ।
কবি - ইতিহাস তোমাকে মনে রেখেছে
মনে রেখেছে তোমার স্বজনদের।
একটি বাংলাদেশ
তার মানচিত্রের পরিধিতে
তোমার স্বজনেরা অমর।
তুমি কেঁদোনা কবি - তুমি কেঁদোনা।
তোমার স্বজনের রক্তের উর্বরতায়
যে সবুজের জন্ম হয়েছে, তার ইতিহাস
অমর হয়ে আছে, বাংলার মানচিত্রের বুকে।