দুঃখ নদী সেভেরন
নূরজাহান শিল্পী
দুর্ভাগ্যের সেভেরন ওয়েলসের দুঃখ নদী,
অমৃতের সুধায় বয়ে চলা অনির্বাণ নিরবধি।
ত্যাগের প্রস্ফুটিত অঙ্কুর
প্রতিনিয়ত জুটেছে অবহেলার কঙ্কর।
অরন্যের কাতর প্রাণে বয়ে চলা নিরবধি
পাহাড়ি ফুল লতাগুল্ম লোফালিয়া জড়িয়ে,
উজানে যাচ্ছে জল
সে জল ছুঁয়ে কোন এক সন্ধ্যাস্নানে ,
রমণী চৈত্রের হাওয়া গায়ে মেখে
জলের সাথে রাত্রির রহস্যমিলনে মিটেছিল পিপাসার ঢল।
সমুদ্রের পানে দূরগামী সান্নিধ্যে
দিগন্তরেখা ছুঁয়ে অসীমের হাতছানি ,
রিক্ত হস্তে ক্ষরণে দীর্ঘক্ষন
তবু উপেক্ষিত ওয়েলসের সেভেরন ।
সেভেরনের প্রবল স্রোতস্বিনীর জলোচ্ছ্বাসে সুর তোলে,
মুক্তোর আবরণে ঝিনুকের স্বচ্ছজলে ।
আনন্দধারায় বিস্ময়কর ভাবে স্নাত হয় উড়ন্ত সিগাল
শিকারি বন্দুক তুলে নেয় সেই সুবর্ণ সুযোগে।
পথের শেষে পথের অন্ত নেই জেনেও,
বয়ে চলা অবিরাম ওয়েলসের দুঃখ নদী সেভেরন।
মানুষের মতো কখনো-সখনো নদী ও অহংকারী হয়ে ওঠে, অথচ দীর্ঘতম সৃষ্টির কারিগর সেভেরন
যেন শুদ্ধতম ছায়ার শেষ মুদ্রণ।
যাকে ছুঁয়েই জেগে ওঠে প্রাণ- প্রাণের বিস্ময় স্পন্দন।
পুর্নজন্ম হলে মানুষ হবো না নদী হবো ,
শান্ত অথচ গভীর ক্ষত পুষে পুরোটা জুড়ে সেভেরন ।
দুঃখ ভাসাবো দুঃখ উড়াবো
খেয়ালে -বেখেয়ালে,
বিষন্নতায় ছুঁয়ে যাব পলকে
মুছে দেবো স্মৃতি -বিস্মৃতির অতলে ।