নষ্টযুগ

নষ্টযুগ
গোলাম রববানী 
যখন ডিজিটাল যুগের ছেলেমেয়েরা পাবজি আর ফ্রি-ফায়ারে মগ্ন থাকে
তখন এনালগ যুগের ছেলেমেয়েরা মার্বেল আর লাটিম খেলায় যে ছিলে ভুলে
যাইতো তারা বিলের ঝিলে কাটতো সাঁতার খেলতো খেলা খেলার মাঠে ব্যাট আর বলে
পড়তো তারা বইয়ে শিখতো আসল পড়া মানুষের মতো মানুষ হইতে হবে তবে
হইতো ধরা আনন্দের মেলা দশে বলতো ভালো ভুবন যেতো ধন ধান্যে পুষ্পে ভরে
কী মজা কী মজা খেলতো তারা কতো খেলা হাতি আর ঘোড়া দাদু দিদার পিঠে
কোথায় গেলো সেই সময় আজ কোথায় গেলো চলে
কলিযুগের কাল এসেছে বিশ্ব আজ বিলয় দ্বারপ্রান্তে 
নয়া দামান সেজে এ কেমন নয়া যুগ এলে নষ্ট যুগের
নষ্টদের-ই অধিকারে
এখনকার ছেলেমেয়েরা দেখি পর্ন দেখে দেখে ডার্টি পিকচার কী বাহারে;
ফুলো বয়সে আর্ট ফ্লিমে যা-ই যে মজে চাইছে লাল পানি আর সিদ্ধিরে
দ্যাশ যে গ্যাছে বিলয়ের ধারে কে যে কাহার ধার ধারে আর আহারে
নষ্ট খেলার নষ্টামিতে বড্ড গেছে বেড়ে তাই-না দ্যাখে কানামিয়া কয় বিশ্বরে!
এ কি হলো! হলো রে! এ কোন মরণ ব্যাধির ভীষণ যন্ত্রণারে 
করোনার ভয়াল থাবা বিশ্বজুড়ে ভয়ঙ্কর তাও দেহি কেউ তো থামছে নারে
তাইরে নাইরে তাইরে নাইরে চলতেছে এ ধরার মাঝে এ কোন ধরনের সার্কাসরে
জ্বলছে ঘর পুড়ছে মন মরণেরি সরণে চলছে তাও নিয়ম মেনে মরণেরও মরমে
দেচছে তুলে সেলুলার ফোন গার্ডিয়ানে নইলে জেদের বশে মরবে ঝুলে রশ্মির টানে এ যুগের ছেলেপুলে 
নষ্টযুগে কেমন করে উড়বে পাখি দেশ হতে আজ দেশান্তরে বড্ড লাগে ভয় মহাকাশের বুকে
নষ্টযুগের নষ্টামিতে এমন করে চলছে মানুষ মহাকালের সাক্ষী চাঁদ তারা আর ভানুরে
আজিকার যুগে কচিকাঁচা পোলাপাইনে বলো তবে দেখি কী শিখছেরে 
বেয়াদুপি আর বদমায়েশে বুক ফুলিয়ে দেখিয়ে যায় এ কোন বাহাদুরে
শিখছে ঘোড়ার ডিম উড়িয়ে দেয় কালো ধোয়া নীল পৃথিবীর নির্বাণে
অবাক পৃথিবী দেখেশুনে কী শুধু  অবাক হলে চোখদুটো খুলে রাখো সবে
টের পাবে রে ভাই টের পাবে রে ভাই অনাগত ভবিষ্যতের আজব পৃথিবীতে  
চারপাশে আজ ভাঙন এসেছে পরকীয়ার জোয়ার উপচে পড়ে সংসারের মেরুদণ্ড ভাঙ্গছে
মরছে শিশু মরছে বাবা মরছে মা মরছে ভবিষ্যত প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের বান্ধবরে
কে থামাবে আজ নষ্টযুগের নষ্ট এ বিশ্ব সংসার
কে থামাবে আজ নষ্টযুগের নষ্ট প্রযুক্তির ব্যবহার!
২০ জৈষ্ঠ্য ১৪২৮ বঙ্গাব্দ