পৃথিবীর নিথর শরীরে

পৃথিবীর নিথর শরীরে

রুকসানা রহমান

তোমারে দেখেছি হাজার বছর পরে অন্ধকার হৃদয়ের রুদ্বদ্বারে, যেনো মনে হলো

কত প্রান্তর পেরিয়ে ছ্ঁয়ে দিলে তৃষিত আত্মার

দ্বগ্বচিতায় কালের প্রহর।

তবু মনের অতলতায় এ কেমন অদ্ভুত বিস্ময়ের

জোয়ার আমার চেখোর তারায় প্লাবিত হয়ে

ছড়িয়ে পড়েছে আঙিনায় ।

সেই রক্তিম বিকেলে যখন তোমার, করতলে আমার

অবয়ব খানি তুলে বলতে মায়াবতী লাবণ্যের

ইন্দ্রজালে বন্দি হয়ে আর কি ফিরে যাওয়া, যায়

প্রণয় সাঁকো পেরিয়ে।

আজ হাজার বছর পরে নৈশব্দের জানালায় আকাঙ্খার, কোমল পাখায় দুলে ওঠে বকুলের

শাখায় সেই ছায়া, অর্চনা দ্বীপাধারে কেমন নিথর

 ঘুমিয়ে আছো আমি হীন শয্যায়।

আর আমি কেবলই দেখি পৃথিবীর অতল আঁধারে

তোমার,দুহাত ভরা ফুলের বর্ষন গড়ায় শাড়ির

কুচির,ভাঁজে -ভাঁজে মায়াময় সৌরভের শিহরণ।

দিশেহারা মনডাকে ওঠোনা নাগো জেগে আমি ফিরে

এসেছি ফাগুনের পলাশ রাঙানো ক্ষণে কৃত্রিম আলেয়ার নগরে।

যায়নিকে মুছে তোমার অনন্ত ওষ্ঠের স্পর্শের রাকাটিপ।

ওঠোনা দেখো আজ চমৎকার একটি রাত, হাজার বছর আগে যেমন জেগে উঠেছিলো আকাশের বুক জুড়ে তারকারাশিরা ভালোবাসার স্তম্ভ গড়েছিলো

আমি আড়ষ্টে অভিভূত ছিলাম বাহুবন্ধনে বলিয়ান ;

রোদ্দুরের ঘ্রাণে শুনেছিলাম হৃদয়ের স্পন্দন।

খুঁজছি ছায়া, নবান্নের রজনীতে

কোনদিন তুমি জাগবেনা আর দূর্বিবার এই বেদনার

অনন্ত আত্মার লালিত স্বপ্নমেঘে বিদূৎ খেলে যায়

হে প্রিয় স্মৃতিময় আনন্দ রাগিণী রাত, আমার ছায়া কে,জাগিয়ে দাও 

আমি যে আজও মিশে আছি পৃথিবীর নিথর শরীরে।