বৃত্তের মাঝে সরল রেখা
এম. আর হারুন
হস্তরেখা গুলো এলোমেলো
ভাগ্যের পরিবর্তন হবে নিশ্চিত
বলেছিলো বিজ্ঞ জ্যোতিষ,
হাতের তালুতে বৃত্তের ভিতর
সরল বেখাটি বাঁক দিয়েছে
নীলপদ্ম পাথর ব্যবহার করিস।
এমনিতেই শেষ, হৃদয় শূন্য, মন অবচেতন
ডান পথে চলতে গেলে, বাম হয়ে যায়
সোজা রাস্তা যেনো বাঁকা হয়ে যায়,
কি ছিলো জীবনের শেষ প্রারম্ভে
এক পা দু পা করে ফিরে আসি
জ্যোতিষ যাই বলুক, তাতে কি
এখনতো নিঃশ্বেস,শুধু হাঁড় গুলো দেখি।
জীবনের ডায়েরিটার লেখা গুলো মুছে গেছে
স্পষ্ট বুজা যাচ্ছে না, কি লিখেছিলাম
কাকে নিয়ে এতো লেখা ছিলো,
কোন কারনে ডায়েরিটা শূন্য হলো
নিজেইতো জানিনা, এতোটুকু জানি
সময় ফুরিয়ে গেছে, মাটির সন্ধান চায়
চলে যাবো, একাই যেতে হবে।
কেউ একজন কথা দিয়েছিলো যাওয়ার সময়
আমার সাথে কবরের বাসিন্দা হবে
সেওতো এখন মুখ ফিরিয়ে নিলো,
ভাগ্যের লেখন ছিলো বলেই
জ্যোতিষ হস্তরেখা গণনা করে বললো
বৃত্তের ভেতর সরল রেখা বাঁক দিয়েছে
এখন আর কোনো পথ নেই।
জীবনে কাউকে বেশি আপন ভাবতে নেই
সে যেই হোক না কেনো, কথা দিবে
জীবন মরণ একই সাথে থাকবে,
যখন নিঃশ্বাস শেষ প্রান্তে এসে দাড়াবে
সেও দুরে চলে যেতে দ্বিধা করবে না
মনে কি আর রাখবে,
এখন জীবনটা বৃত্তের বাইরে ঘুরছে
কোনো এক অজানা নক্ষত্রের মত
শেষ সীমান্ত অতিক্রম করে
চলছি একা নীরবে নিভৃতে নিরুপায় হয়ে
পথভ্রষ্ট পথিক হয়ে।