এক সমুদ্র নোনা জলে
সালেহ মওসুফ
ভেতরটা আজ বিরান ভূমি
হৃদস্পন্দন ক্রমাগত বেড়ে যায়
মনে পড়ে তোমাকে
কত দূরে তবু কত কাছে, আছো ভাবনায়।
কেউ নেই পাশে অতি আপন
পরাণের বারতা নেবে প্রতিক্ষণ
পাতা ঝরার শব্দে ভাঙ্গে গভীর নিস্তব্ধতা
চাঁদে লাগে গ্রহণ।
একদিন কন্ঠের সুরে তোমার
ফিরে পেতো ছন্দ, সেতার,গীটার, ঢোল
বাতাসে উড়ে পরাগরেণু
গাছে গাছে ফুটিয়ে যেতো ফুল।
পেরিয়ে এসে বসন্তের দিন
শরতের হাওয়ায় হৃদয় হয় উদাসীন
বিটপী মেলেনা শাখা
প্রেয়সী ছড়ায় না আবীর কাঁদে বিপিণ ।
মনে পড়ে লাজুক ঠোঁট
কাঁপছিলো ভয়ে, উৎসব মূখর পহেলা বৈশাখে
যেদিন বলেছিলে গোলাপের পাপড়িতে
মিষ্টি চুম্বন দিতে এঁকে।
অপ্রতিরোধ্য আবেগে
দুজনের মধুর বাণী ভাসতো হাওয়ায়
রাতভর, সকাল দুপুর বিকেল
গোধূলি সন্ধ্যায়, বেলা অবেলায়।
মনে পড়ে, মন পোড়ে
বেদনায় ঝরে পড়ে দূরের নক্ষত্র বসুধায়
সামনে হেমন্ত দুঃস্বপ্নে কাটে রাত
কাঁদে হৃদয় অসীম শূন্যতায় ।
এখন আমার কাছে হায়
কোনই অবলম্বন নেই বেঁচে থাকার
এক সমুদ্র নোনা জলের দুচোখে অশ্রুধারা
আজ শুধুই আমার ।।