বৃষ্টি মাখা আত্মজ দুপুর
শোভা চন্দ
বাদল দিনে তন্ময় হয়ে প্রাগৈতিহাসিক যুগে
চোখ রাখি।
মনে হয় কে যেন হাঁটু মুড়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন
কত কি মনে পড়ে,অন্তরে দুঃখের ওজন বাড়ে।
স্মৃতির বাতায়ন খুলে উঠোনে পায়চারি ,
কখনো উদাস হয়ে আকাশ দেখি,মেঘের ডানায় ওড়া রামধনু রঙ ,ভেজা পাখিদের গল্প,
দিগন্তের বুক চিরে বিদ্যুতের শাসানি
মাঝে মাঝে বড় অভিমানে সারা দিন -রাত অঝোরে ঝরে ,
চকিত দুয়ারে শরৎ কড়া নাড়ে
এই প্রেক্ষাপটে বর্ষা কাঁদে আর্তস্বরে
বৃষ্টির জলে ধুয়ে মুছে যায় ইহকাল,
যত গ্লানি।
বর্ষারানীকে কখনো মনে হয় বিবর্ণ মুখের ছায়া,
জানালায় পিঠ ঘষে বিপন্ন অন্ধকারের ইতিহাস
আর ক্ষুধার সংসারে আঁকে যন্ত্রণার ক্যানভ্যাস
তবুও সব দুরাশা সরিয়ে আশ্চর্য অনুরাগে
বৃষ্টি মেখে খুব সন্তর্পণে
আত্মজ দুপুরে নরম মাটিতে পুঁতে দিই
কুশলী অক্ষরবীজ...