কলসি কাঁখে

কলসি  কাঁখে


আব্দুছ ছালাম চৌধুরী 

ইশ!
এমনি তো তোমার দেখা মেলে না,তবে কলসি কাঁখে রোজই উঁকি দাও।
মাঝে মাঝে ওই টিনের ছাউনি দিয়ে তোমার আনাগোনা বেশ লক্ষ্মণীয়।
অস্থিরতা এই দুটি চোখে,
ঠিকই তুমি ছোট্ট শহরে বসবাস করো,তবে তুমি বিচরণ করো ওই নক্ষত্রে-
কল্প বিলাসী এক নাবিকের মৌনতায়,
যে ত্রিশূল হাতে পূজারীর মতো দণ্ডায়মান, নড়ে না এক পলকে। 

আধুনা এই নগরে এখনো শত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে- 
কথার কথায় তাণ্ডব শুরু হয়!
কুৎসা রটনায় সবই হয় খোলাসা! 
এখানপ বিশ্বাসের মৃত্যু অবধারিত,সন্দিহানেরা রয়ে গেছে চাওয়া পাওয়ার অলিন্দে। 

সর্বনাশা—
সেই বিষন্নতার একটি দীর্ঘশ্বাস কেবলই সেই সময়ের সাথী, 
ঝাঁঝালো ঠোঁটের মাধুর্য খুঁজতে কত-না রীতিনীতি। 
শুভলক্ষণ ক্ষীণ 
নীলচে-রা ঘুমন্ত 
জাগায় কেবলই নোনাজলে,আর তন্দ্রাঘোরে। 

যখন চোখ মেলে তাকাই, তখন হই ছানাবড়া,
মনে পড়ে—
হিমালয় হয়ে ছুঁয়ে আসা হিমেল বাতাসে ছিলাম ঘুমপাড়া।
ঠিক তখন আবারও ক্ষুদ্র কণা হৃদয় গহীনে হানা দেয়,বলা চলে ছুঁয়ে যায়-
মৃদুস্বরে বলে –
---শোনো,
আমি কলসি কাঁখে এসেছি,এখানেই থাকবো, এই অলিন্দে।