সম্মোহিত ঝাপ
মহিউদ্দিন আহমেদ
কেনো যে তোর অদৃশ্য ফাঁদে বার বার আটকা পড়ে যাই,
ডানা ঝাপটাতে গিয়ে ঢলে পড়ি গভীর অতলে,
জানি,মাকড়সার মতো সাঙ্গ করে দিবি আমার ভবের লীলা,
তবুও কেনো মৌবনের পাগলা হাওয়ার টানে,
বারে বারে ছুটে যেতে যাই দুর্দান্ত শঙ্খমেলায়,
উথাল পাথাল ঢেউয়ের মাঝেই চড়ে বসি,
অপরিণামদর্শী রক্তনিয়মের ভেলায় ।
উপেক্ষা করে ফেলি সকল ছুটির ঘন্টা, জাগতিক বন্ধন,
কে যেনো কামনার জ্বলন্ত কুণ্ডে ক্রমাগত দিয়ে যায়,
বিরতিহীন বাসনার ইন্ধন ।
ইচ্ছে করে ইচ্ছে-পাখির ডানায় চড়ে,
পরাগ পাগল বসন্ত বাগানে খুটি গেড়ে বসে যাই,
সম্মোহিত শিকার হয়ে,
ক্ষুধার্থ অজগরের দুর্দমনীয় চপল ঠোঁটে,
নিজেকে খুঁজে পেতে অস্থির হয়ে যাই ।
ফিরে আসার সকল পথ রুদ্ধ জেনেও,
ছুটিয়ে দেই পাগলা ঘোড়া,
নির্ঘাত বিপর্যয় জেনেও ঢিল দিয়ে ফেলি ভিমরুলের চাকে,
দিশেহারা হুলে জর্জরিত ক্লান্ত পথিকের মতো,
গড়াগড়ি দিতে উন্মুখ হয়ে যাই তোর মাটির বিছানায়,
জানিনা এর শেষ কোথায় মিশে যাবো কোন্ ঠিকানায় ।
পাগলের মতো খুঁজে ফিরি, লুকানো পদ্মের মধু,
অমৃত রসের সরোবর,
সারা গায়ে মেখে নেই,
ভাঁজে ভাঁজে উথলে উঠা,
ফেনিল ঢেউয়ের সাগর ।
, সব যন্ত্রণা ধুয়ে মুছে কে যেনো দেয় লেপ্টে থাকা ঘুমের আহবান,
স্বেচ্ছা-মৃত্যুর অমৃত বন্ধনে হারিয়ে ফেলি,ভূত-ভবিষ্যত অতীত ও প্রবাহমান বতর্মান ।