আমরা সাহাবী তাবেয়ী যোগ অনুসরণ করে বাংলাদেশে আনতে চাই জামায়াতের আমির

তানভীর চৌধুরী মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা সাহাবী তাবেয়ী যোগ অনুসরণ করে বাংলাদেশে আনতে চাই। এই যোগ যখন আসবে তখন রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক নারী পুরুষ সকলে সম্মানের সাথে বসবাস করবে। সকল গর্বীত নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিবে আর এই রাষ্ট্র হবে কল্যাণ রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হবে তার জনগণের সমস্ত অসুবিধা দূর করে সুবিধা নিশ্চিত করা।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারে স্থানীয় জামায়াতের আয়োজনে মতবিনিময় সভা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমীর এসব কথা বলেন।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, একটা জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি। মানুষ গড়ার জন্য যে শিক্ষা প্রয়োজন সে শিক্ষা আমাদের দেশে নেই। সমাজে ধর্মের ভাগাভাগিতে আমরা বিশ্বাস করিনা। আমার ধর্মকে যথেষ্ট আবেগ দিয়ে ভালোবাসি ঠিক একই ভাবে অন্য ধর্মকে ভালোবাসবো।
ড. শফিকুর রহমান যুবকদের প্রতি অনুরোধে করে বলেন, সমাজ বদলাতে হলে তোমাদের হাত লাগবে। তোমাদের হাত ছাড়া দুনিয়ায় কোন সমাজ বদলায় নি।
এর আগে রোববার দুপুরে জেলার কুলাউড়া উপজেলায় চা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ড. শফিকুর রহমান বলেন,
চা-শ্রমিকদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, এ দেশে সব নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকবে। চা-শ্রমিকদের দায়িত্বও সরকারকে অন্য নাগরিকদের মতো সমানভাবে নিতে হবে। তারা এখনও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা যদি জনগণের ভোটে দায়িত্ব পাই, তাহলে তাদের সম্মানের সঙ্গে বসবাস নিশ্চিত করব। তাদের সন্তানদের প্রতিভার বিকাশে পাশে থাকব।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শফিকুর রহমান বলেন, ‘শনিবার আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছি। এই বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন, এমন একটি নির্বাচন হবে, যেখানে একটি ইতিহাস তৈরি হবে। প্রত্যেকটি মানুষ হাসিমুখে ভোট দিয়ে বের হবে। কেউ গিয়ে দেখবে না যে, একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে এসেছে। জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বিভিন্ন প্রস্তাবনা আমাদের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। মানবিক করিডর না দেওয়ার বিষয়েও আমাদের অবস্থান সরকারকে জানানো হয়েছে।
কমলগঞ্জের শমশেরনগরে
মতবিনিময় সভা ও সুধী সমাবেশে ছাড়াও কুলাউড়া উপজেলায়
চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, মহিলা সুধী সমাবেশে এবং জামায়াতের ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের সম্মেলনে যোগ দেন ডা. শফিকুর রহমান।