যুক্তরাজ্যে বাড়ছে নরো ভাইরাসের প্রকোপ

যুক্তরাজ্যে বাড়ছে নরো ভাইরাসের প্রকোপ

নূরজাহান শিল্পী 

যুক্তরাজ্যে ও যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে নরোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন এ ব্যাপারে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বেশি নরোভাইরাস আক্রান্ত রোগী দেখা গেছে বলে জানা গেছে।

নরোভাইরাস ‘পেটের ফ্লু’ হিসেবেও পরিচিত। এ রোগে মারা যাওয়ার ঘটনা বিরল। তবে আক্রান্তকে ভুগতে হয় প্রচুর। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর দুই কোটিরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হন এবং প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ অসুখে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসাসেবা নেন। 

মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্যানুসারে, এই অসুখের প্রকোপ এখন বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে ইউনি ডেভিস হেলথের শিশুরোগ এবং সংক্রমিত রোগ বিভাগের প্রধান ডক্টর ডিন ব্লামবার্গ বলেন, ‘নরোভাইরাসকে কখনও কখনও শীতকালীন বমি রোগ হিসেবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

বছরের যেকোনো সময়ে নরোভাইরাস ছড়াতে পারে। তবে শীতে এটি বেশি হয়ে থাকে। এ রোগের কারণে তীব্র বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। রোগটি অত্যন্ত সংক্রামক। 

ব্লামবার্গ বলেন, এমনকি স্বল্পসংখ্যক ছড়িয়ে পড়া কণা থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। এ কারণেই এটি পরিবার ও শ্রেণিকক্ষে সহজে ছড়ায়। তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে মানুষ এমন পৃষ্ঠ বা ভিন্ন জিনিস ছুঁতে পারে এবং সে হাত মুখে দিতে পারে, খাবার খেতে পারে। এটা এভাবেই ছড়িয়ে থাকে।

 সিবিএস  রয়টার্স থেকে জানা যায় সংক্রমণের ২ থেকে ১২ দিন পর আক্রান্তের মাঝে উপসর্গ দেখা যেতে পারে। ব্লামবার্গ বলেন, এ রোগের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা।

প্রতিবছর ৮০০ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নরোভাইরাসের কারণে। এ রোগের সবচেয়ে বড় বিপদটিই হলো পানিস্বল্পতা। এ কারণেই কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করা জরুরি।

নরোভাইরাস শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, যুক্তরাজ্যেও বড় মাপে ছড়িয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় চলতি বছর সংক্রমণের গড় হার ৬৬ শতাংশ বেশি। ৬৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ব্যক্তিরা এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।