টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ২০২৫–২০২৮ সালের জন্য তাদের নতুন আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ২০২৫–২০২৮ সালের জন্য তাদের নতুন আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ২০২৫–২০২৮ সালের জন্য তাদের নতুন আর্লি হেল্প স্ট্র্যাটেজি চালু করেছে।

এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো: প্রতিটি শিশু, তরুণ এবং পরিবার যেন উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
বুধবার, ১ অক্টোবর মিথ গার্ডেনস ফ্যামিলি হাবে আয়োজিত এক কমিউনিটি ইভেন্টে এই স্ট্র্যাটেজি বা কৌশলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। এ অনুষ্ঠানে পরিবার, পেশাজীবী এবং অংশীদাররা একত্রিত হয়ে শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতি উদযাপন করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় টাওয়ার হ্যামলেটস-এর নির্বাহী মেয়র বলেন: “এই কৌশল টাওয়ার হ্যামলেটস-এর প্রতিটি শিশুর জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমরা জানি, যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তত বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর্লি হেল্প মানে হলো সমস্যা বড় হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করা এবং পরিবারকে সঠিক সময়ে সঠিক সহায়তা দেওয়া, যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।টাওয়ার হ্যামলেটস দেশের সবচেয়ে তরুণ ও বৈচিত্র্যময় বারাগুলোর একটি-এটাই আমাদের শক্তি। এই কৌশল আমাদের কমিউনিটিরই প্রতিফলন"
তিনি বলেন, 'আমরা গর্বিত যে এ বছর অফস্টেড টাওয়ার হ্যামলেটস-এর আর্লি হেল্প সার্ভিসকে একটি শক্তিশালী দিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এখানেই আমরা থেমে থাকছি না। এটি কেবল একটি কাউন্সিল পরিকল্পনা নয়; এটি গোটা কমিউনিটির প্রতিশ্রুতি। পরিবার, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও অন্যান্য অংশীদারদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে আমাদের শিশুরা বিকশিত হতে পারে।”
স্ট্র্যাটেজির মূল নীতিমালা:
- সম্পূর্ণ পরিবারকে সহায়তা করা
- প্রতিটি যোগাযোগকে মূল্যবান করে তোলা।
- সমন্বিত, সহজলভ্য ও সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল সেবা প্রদান করা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন অভিভাবক ও একজন তরুণ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এসময় ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইযুম তালুকদার সহ কাউন্সিলের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইযুম তালুকদার বলেন, “আমাদের পার্টনারশিপ সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। শিশু, তরুণ এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাছে শিশুরা ও তাদের অভিভাবকেরা অমূল্য। এই কৌশল অনুসরণ করে আমরা আরও ভালোভাবে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিশ্চিত করব।”
সাপোর্টিং ফ্যামিলিজ-এর পরিচালক সুজানাহ বিসলি-মারে বলেন, “আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, যাতে আপনি সহজেই সিস্টেম সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সঠিক ব্যক্তির কাছ থেকে সহায়তা পান। এই পরিকল্পনা গড়ে উঠেছে শিশু ও অভিভাবকদের কণ্ঠ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, কারণ তারাই সবচেয়ে ভালো জানেন, তাদের কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন।”
আর্লি হেল্প অ্যান্ড চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসের প্রধান মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, “প্রত্যেক পরিবার জীবনে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। বেশিরভাগ সময় সেই চ্যালেঞ্জে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুরা পাশে থাকে। তবে কখনও কখনও অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হয়—সেই সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত। আর্লি হেল্পের উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ও অংশীদারদের একত্রিত করা, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায় এবং পরিবারগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে পারে।”